এপিবিএনে ‘ডগ হ্যান্ডলার’ হিসেবে কাজ করবেন নারী সদস্যরাও

এপিবিএনে নারী ‘ডগ হ্যান্ডলার’ তৈরির প্রশিক্ষণ চলছে
ছবি: সংগৃহীত

নারী পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ‘নারী হ্যান্ডলার’ হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ইতিমধ্যে বাহিনীটির সাতজন নারী সদস্য ‘বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার’ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ নেওয়া সদস্যদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। এপিবিএনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ছাড়াও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ডগ স্কোয়াড রয়েছে। তবে এপিবিএন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী হ্যান্ডলার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে সাতজন নারী সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও এপিবিএন যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল।

এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ব্যারাকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়া নারী সদস্যদের হাতে সনদ তুলে দেন এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তোফায়েল আহম্মদ (অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক), হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নারী সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের টনি ব্রাইসন ও নিউজিল্যান্ডের মেলিন ব্রডউইক।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে বাহিনীটির কুকুরের সংখ্যা ৬৬টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। তৃতীয় টার্মিনালের সম্ভাব্য কার্যক্রমের কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছরই যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস থেকে আরও অন্তত ১৫টি কুকুর আনা হবে।

২০১৭ সালে দুটি ল্যাবরেডর, দুটি জার্মান শেফার্ড ও  চারটি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ‘কেনাইন ইউনিট’ যাত্রা শুরু করে। শুধু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় এই ডগ স্কোয়াড কাজ করে। তাদের বিমানবন্দরে আসা যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ক্যানোপি নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং আগত যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি তল্লাশি করা, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে এই ডগ স্কোয়াড।