সাত বছরের সাদিয়ার লাশ বোরকায় মুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয় নদীতে

শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কোহিনুর আক্তার সাদিয়ার মরদেহ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ডেমরায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সাত বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। মরদেহটি কালো রঙের বোরকায় মোড়ানো ছিল। মরদেহের মুখ ছিল কাপড় দিয়ে বাঁধা। শিশুটিকে হত্যা করে বোরকায় মুড়িয়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা নৌ পুলিশের।

গতকাল সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিচয় জানা গেছে। তার নাম কোহিনুর আক্তার সাদিয়া।

পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ার কামশাইর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। তার বাবা শহীদুল্লাহ পেশায় একজন রিকশাচালক। সে কামশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ছোট ছিল সাদিয়া।

ডেমরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কুমারেশ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে কয়েক শ গজ দূরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চার থেকে পাঁচ দিন আগে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীতে ফেলা হতে পারে। জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরনে ছিল তার স্কুলের নীল রঙের পোশাক এবং ধূসর রঙের প্যান্ট।

শিশু সাদিয়ার চাচা অহীদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিকেলে স্কুল থেকে বাসায় ফেরে সাদিয়া। তারপর খাবার খেয়ে স্কুলের পোশাক পরেই খেলতে বের হয়। পরে আর বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।