এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে আজ বাদ জোহর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজা হয়। বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ বনানী করবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বনানী কবরস্থানে এ জে মোহাম্মদ আলীকে তাঁর বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব আইনজীবী কায়সার কামাল। এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে জানাজায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও নুরুল ইসলাম সুজন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সমিতির বর্তমান সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ অংশ নেন। জানাজার আগে এ জে মোহাম্মদ আলীর কর্মময় জীবন সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়। এ জে মোহাম্মদ আলীর জন্য তাঁর ছেলে ও মেয়ে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। জানাজার পর বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ জে মোহাম্মদ আলী (৭৩) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।