২৭ বিশিষ্টজনের বিবৃতি: সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

বিবৃতিদাতারা বলেন, দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রচর্চা ও আদর্শবাদী ধারা দুর্বল হয়ে গেছে। এর সুযোগে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংকটের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক চক্র, লুটেরা অসাধু চক্র সমাজ ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে। মূলত দেশে নির্বাচনব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে নিকট অতীতেও নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, ট্রেন, বাস, লঞ্চসহ পরিবহন ধ্বংস করা, সংখ্যালঘু, আদিবাসী, নিরীহ মানুষের ওপর নিপীড়ন, অত্যাচার, ধর্ষণ, ক্ষেত্রবিশেষে দেশ থেকে বিতাড়িত করার মতো বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। এবারও পূর্বোক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, এর নিশ্চয়তা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সম্পর্কে সতর্ক থাকা ও সংখ্যালঘু–অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে নির্বাচনী কমিশনকে অধিকতর শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা দিতে হবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের আহ্বান, সংঘাত-সহিংসতা নয়, সমঝোতা ও আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধূরী, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নুর মোহাম্মদ তালুকদার, খুশী কবির, এম এম আকাশ, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, রানা দাশগুপ্ত, কাজল দেবনাথ, আর এম দেবনাথ, অসিত বরন রায়, মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, রোবায়েত ফেরদৌস, আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, জোবায়দা নাসরিন, সালেহ আহমেদ, পারভেজ হাসেম, সেলু বাসিত, এ কে আজাদ, জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, অলক দাসগুপ্ত, আব্দুর রাজ্জাক, সেলিম রেজা, অতুলন দাস।