হোটেল ওলিওসহ পান্থপথের তিন ভবন সরকারি জমিতে

ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, খাসজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে হোটেল ওলিও। আজ সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের স্টিকার ও বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছেছবি: সাজিদ হোসেন

খাসজমি দখল করে রাজধানীর কলাবাগানের পান্থপথে হোটেল ওলিওসহ দুটি বহুতল এবং একটি একতলা ভবন বানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ভবনগুলোয় বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এসব ভবনের ভাড়াটেরা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা দোকান ভাড়া নিয়েছেন, তাঁরা কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি।

জেলা প্রশাসনের টাঙানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত শুক্রবাদ মৌজার বর্ণিত ৮ দশমিক ৭৪ শতাশ (০.০৮৭৪) জমি সরকারি সম্পত্তি। এই সম্পত্তিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

ভবনগুলোয় জেলা প্রশাসকের বিজ্ঞপ্তি টাঙানোর সময় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্বল কুমার হালদার, ধানমন্ডি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল ইসলাম ও লালবাগ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মো. মামুনুর রশিদ।

উজ্বল কুমার হালদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবৈধভাবে দখল করা প্রায় ১০০ কোটি টাকার খাসজমি চিহ্নিত করে উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা আজ বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিলাম। এক সপ্তাহ পরে এখানে উচ্ছেদ করা হবে।’

রাজধানীর পান্থপথে নজরকাড়া এই বহুতল ভবনও গড়ে তোলা হয়েছে খাসজমিতে। এই জমির মালিকানা উল্লেখ করে আজ বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ছবি: সাজিদ হোসেন

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ফিরোজ রহমান ওলিও অবৈধভাবে দখল করে সরকারি জমির ওপর হোটেল ওলিও বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিচ্ছেন। তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল। তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, হোটেল ওলিওর পাশের সাততলা ভবন বানিয়েছিলেন আবদুর রউফ ভূঁইয়া। তাঁর মৃত্যুর পর ওই ভবনের মালিকানা দাবি করছেন চার মেয়ে। ভবনের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া। বাকি তলাগুলো আবাসিক বাসা হিসেবে ভাড়া দেওয়া।

ওই বাসায় থাকেন আবদুর রউফের মেয়ে নাদিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে জেলা প্রশাসক বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজ রয়েছে।’

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, অবৈধ দখলের একতলা ভবনে ‘ক্যাফে আল বারাকাহ’ নামের একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল সুমন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশাসন ১০ দিনের সময় দিয়েছে। আমি বিষয়টি হোটেলের মালিককে জানিয়েছি।’