পার্কের নিয়ন্ত্রণ আবার ক্লাবের হাতেই

মানুষের টাকায় তৈরি পার্ক সার্বক্ষণিকভাবে জনসাধারণই ব্যবহার করতে পারছেন না। পার্কটি ভাড়া না দিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি উঠেছে।

পার্কের উন্মুক্ত স্থান নষ্ট করে বানানো হয়েছে কৃত্রিম মাঠ (আর্টিফিশিয়াল টার্ফ)। যেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কেছবি: দীপু মালাকার

সবুজে ঘেরা পার্কটির উন্মুক্ত স্থান নষ্ট করে কৃত্রিম মাঠ (আর্টিফিশিয়াল টার্ফ) বানানো হয়েছে। সেই স্থান সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সুযোগ নেই। ক্রিকেট মাঠটিও ব্যবহারের সুযোগ পান না স্থানীয় বাসিন্দারা। মাঠে খেলাধুলা ও অনুশীলন করেন শুধু মাঠ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ক্লাব একাডেমির খেলোয়াড়েরা। টার্ফ ও ক্রিকেট মাঠ দুটি ভাড়া দেওয়া হয়।

সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারেন না—এমন পার্কটি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক।

পার্কটি পরিচালনা করতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পরে ক্লাবের কার্যক্রম ও জনসাধারণের ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নিয়ে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। পার্কের দখল-ধ্বংস বন্ধে একটি প্রতিবাদী কর্মসূচিও করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যরা। গণমাধ্যমেও ক্লাবের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের পর চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি একটি কমিটি গঠন করে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির পঞ্চম করপোরেশন (বোর্ড) সভায় বলা হয়, তদন্ত কমিটি অভিযোগগুলোর সত্যতা পেয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। তাই পার্ক পরিচালনায় চুক্তির শর্ত ভঙ্গের দায়ে ইয়ুথ ক্লাবের সঙ্গে করা চুক্তিপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। চুক্তি বাতিল করে পার্কটিকে নাগরিকবান্ধব এবং সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়।

বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্কের দখল বুঝিয়ে দিতে গত ২৩ জুন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি হ‌ুমায়ূন কবীরকে পার্ক পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ইস্যুকৃত কার্যাদেশ ও চুক্তিপত্র বাতিলের বিষয়ে একটি চিঠি দেন। তাতে ইয়ুথ ক্লাবকে ২৬ জুন বেলা ১১টার মধ্যে পার্কের দখল ছেড়ে সম্পত্তি বিভাগের কাছে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। তবে গত ১০ জুলাই দুপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, ইয়ুথ ক্লাব তাদের দখল ছাড়েনি।

শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তই হঠাৎ করে পাল্টে ফেলা হয় ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত অষ্টম বোর্ড সভায়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ইয়ুথ ক্লাবের সঙ্গে পার্ক নিয়ে করা চুক্তি পুনর্বহালের। এর ফলে কার্যত পার্কটিকে নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করার পরিবর্তে দখলদারের হাতেই ফিরিয়ে দেয় ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। যদিও সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, চুক্তি বাতিলের পদ্ধতিতে ত্রুটি ছিল।

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এবং উদ্যান সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। পদ্ধতিগত ত্রুটির বিষয়টি পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত কি না, কিংবা ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ ক্লাবের সঙ্গে অনৈতিকভাবে কোনো যোগসাজশ করেছে কি না—সেসবও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।

ঢাকা উত্তর সিটির অন্তত ২৭টি পার্ক ও মাঠ উন্নয়নের নকশা করেছে ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক স্থপতি ইসতিয়াক জহির প্রথম আলোকে বলেন, ইয়ুথ ক্লাব বহু আগেই এই পার্কের জায়গা নিজেদের দখলে নেয়। গত বছর করপোরেশন সেই দখলদারকেই পার্ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়। ইয়ুথ ক্লাব পার্ক ও মাঠ এখন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে।

ইসতিয়াক জহির আরও বলেন, করপোরেশনের উচিত ছিল বোর্ড সভায় চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিনই ক্লাবটিকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা। কিন্তু করপোরেশন সেটা না করে নোটিশ দিয়ে কালক্ষেপণ করেছে। এতে করপোরেশন ও দখলদার গোষ্ঠীর মধ্যে যোগসাজশ হয়েছে কি না, এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। মানুষের টাকায় তৈরি পার্ক সার্বক্ষণিকভাবে জনসাধারণের ব্যবহারের অধিকার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পার্কের বড় একটি অংশে আছে খেলার মাঠ, যেখানে ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিজেদের ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। সম্প্রতি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে
ছবি: প্রথম আলো

চুক্তি পুনর্বহাল, ‘ফেসবুকে’ আড়াল

পঞ্চম বোর্ড সভার ৬ নম্বর আলোচ্যসূচির খ-তে ছিল ‘পেন্ডিং প্রোপার্টি ইস্যু’। এ বিষয়ে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বোর্ড সদস্যদের জানান, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্ক, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি পার্ক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক (সাবেক গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক) পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ভেন্ডররা (প্রতিষ্ঠান) চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ভেন্ডর নিয়োগের চুক্তিপত্রের শর্তাবলির আওতায় ভেন্ডরদের চুক্তি বাতিল করা প্রয়োজন। পরে বোর্ডের সদস্যরা তাজউদ্দীন স্মৃতি পার্কসহ তিনটি পার্কের চুক্তি বাতিলের পক্ষে মত দেন।

পরে ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত অষ্টম বোর্ড সভায় চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তই পাল্টে যায়। সেদিন সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর সিটির ফেসবুক পেজে সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। স্ট্যাটাসটির সপ্তম প্যারায় শহরের পার্ক ব্যবস্থাপনায় সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।

অংশটিতে লেখা ছিল, ‘পঞ্চম করপোরেশন সভায় গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের সঙ্গে ডিএনসিসির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিল করা হয়। ক্লাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (সেদিন) অষ্টম সভায় চুক্তিটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হবে গুলশানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক।’

ইয়ুথ ক্লাব বহু আগেই এই পার্কের জায়গা নিজেদের দখলে নেয়। গত বছর করপোরেশন সেই দখলদারকেই পার্ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়। ইয়ুথ ক্লাব পার্ক ও মাঠ এখন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে।
পরিচালক স্থপতি ইসতিয়াক জহির

তবে ওই অংশটুকু সেদিনই পরিবর্তন করা হয়। সংশোধিত স্ট্যাটাসে প্রশাসক এজাজের বক্তব্য দিয়ে লেখা হয়, ‘ঢাকার পাবলিক পার্কগুলোতে সর্বসাধারণের প্রবেশ একটি অধিকার, এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে বেরিয়ে এসে কমিউনিটি মডেলে পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আমরা নতুন করে আর কোনো ক্লাবকে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব দিচ্ছি না। যেসব ক্লাব এখনো পূর্বে সম্পন্ন চুক্তির ভিত্তিতে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের কার্যক্রম মনিটর করার জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে পেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের চুক্তি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল। সিদ্ধান্তের বিষয়টি আড়াল করতেই ফেসবুকের পাবলিক পেজে দেওয়া বিবৃতি সংশোধন করা হয়।

‘তাপসের’ প্রভাবে আগের চুক্তি

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন বছরের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কের ব্যবস্থাপনা-রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ইয়ুথ ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা উত্তর সিটি। যদিও ৮ দশমিক ৮৭ একর আয়তনের এ পার্কের ৫ দশমিক ৫৪ একর জায়গা অনেক আগে থেকেই ক্লাবের দখল ও নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ইয়ুথ ক্লাবের দখল বেআইনি ও স্থাপনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া আদালতের রায়ও রয়েছে। এর পরও ঢাকা উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ তখন ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি করে। এ নিয়ে গত বছরের ২৪ জুন ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক: দখলদারকেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিল ডিএনসিসি’ শিরোনামে প্রথম আলোয় সংবাদও ছাপা হয়েছিল।

চুক্তি হলে নিজেদের দখলে থাকা আগের সাড়ে পাঁচ একর জায়গার পাশাপাশি সাড়ে তিন একর পার্কের জায়গারও নিয়ন্ত্রণ পায় ইয়ুথ ক্লাব। চুক্তির পরেই তারা পার্কের সবুজ ঘাসের খোলা জায়গা ধ্বংস করে কৃত্রিম ফুটবল টার্ফ করে। টার্ফটি উন্মুক্ত নয়।
পার্কের নকশাকারী বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক জাকিউল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ফুটবলের টার্ফ বানানো জায়গাটি নকশায় ঘাসের খোলা জায়গা ছিল। ক্লাবের নিয়ন্ত্রণে থাকা সাড়ে পাঁচ একর জায়গায় নকশা অনুযায়ী কোনো উন্নয়নকাজ করতে দেওয়া হয়নি।

সাবেক মেয়র আতিকের সময়ে করা ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি হ‌ুমায়ূন কবীর আওয়ামী লীগের সময়কার প্রভাবশালী নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের আপন ভায়রা। মূলত রাজনৈতিক ওই প্রভাব খাটিয়েই ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের দখলে রাখা অংশে কোনো উন্নয়নকাজ করতে দেয়নি।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তি বাতিলের বিষয়টি পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। ইয়ুথ ক্লাবের দাবি, শর্ত অনুযায়ী যে পদ্ধতিতে চুক্তি বাতিলের কথা, সেটা হয়নি, ত্রুটি রয়েছে। তারা চুক্তি পুনর্বহালের আবেদন করে। এ নিয়ে আইন বিভাগের মতামত চাওয়া হয়। তারা চুক্তি পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনার মতামত দেয়, যা বোর্ডে অনুমোদিত হয়।

এর পেছনে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা প্রভাবশালীদের যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান

জনগণের সঙ্গে তামাশা

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান প্রথম আলোকে বলেন, মাঠ-পার্ক নিয়ে বিভিন্ন ক্লাব ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সঙ্গে বিগত সরকারের করা চুক্তিগুলো বাতিলের পরিবর্তে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। জনগণের সম্পত্তি বিভিন্ন ক্লাব ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী নিজেদের আর্থিক স্বার্থে দখল করে রেখেছে। যা সরাসরি জনগণের অধিকার হরণ আর রাষ্ট্রের ব্যর্থতা।

চুক্তি বাতিল করেও আবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কটি (গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক) গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান। বলেন, ‘এর পেছনে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা প্রভাবশালীদের যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’

আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, ক্লাবের নামে পার্ক দখল করে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার, ভাড়া দেওয়া, ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার—এগুলো শুধু বেআইনি নয়, বরং জনগণের সঙ্গে তামাশা। দখলদারের রাজনৈতিক চরিত্র পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু তারা নানাভাবে আঁতাত করে তাদের দখলদারি বজায় রেখেছে। এমন সিদ্ধান্তের জন্য জড়িত মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি করপোরেশন, সবার জবাবদিহি প্রয়োজন।