অটোরিকশায় চাঁদাবাজি করার সময় আটক ১

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কাজীপাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজি করার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে স্থানীয় জনতা। আটক ওই ব্যক্তির নাম আবদুল হান্নান।

মিরপুর থানা শ্রমিক লীগের নেতা জালালউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হান্নান ও তাঁর সহযোগীরা মিরপুর এবং কাফরুল এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন রশীদ। তাঁরাই আবার আটক হান্নানকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত আটটার দিকে পশ্চিম কাজীপাড়ায় হান্নান ও তাঁর সহযোগীরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা হান্নানকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যান। চাঁদাবাজরা প্রতি মাসে অটোরিকশা থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। আটক হান্নানকে পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন রশীদের কাছে সোপর্দ করা হয়। ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন অটোরিকশা থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেন হান্নান। আটকের সময় তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা কাগজে এই তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজরা স্ক্যান কোডের মতো ভুয়া কার্ড অটোরিকশা চালকদের দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছিলেন। কেউ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁর অটোরিকশায় শিকলে তালা লাগিয়ে আটক রাখা হতো।

এ বিষয়ে আটক আবদুল হান্নানের দাবি, ফরমা হাবিব তাঁকে অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলতে বলেছেন। ওই কার্ডে স্ক্যান করলে কিছুই পাওয়া যায় না। দেখতে সুন্দর তাই এ ধরনের কার্ড দিয়ে তার চাঁদাবাজি করছেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফরমা হাবিব বলেন, তিনি মিরপুর ১০ নম্বরে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কমিউনিটিং পুলিশের কাজ করেন। তাই পুলিশ যদি অটোরিকশা চালকদের হয়রানি করে, তাই বিষয়টি দেখবেন বলে অটোচালকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এখন হান্নানের সঙ্গে যাওয়াটাই তাঁর ভুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শ্রমিক লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় মিরপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালালউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, হান্নান তাঁর পরিচিত। তাই তাঁর ফোন পেয়ে তিনি খবর নিতে এসেছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর চাঁদাবাজির ঘটনায় একজনকে আটক করার কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি ফোনে বলেছেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হচ্ছে।