অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েতে ডলার লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ প্রক্রিয়ায় ওই ব্যক্তি বিভিন্নজনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি সিআইডির।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম জেড এম সাজ্জাদুল আলম। সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও তাঁর ব্যবহৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।

রাজধানীর মালিবাগে আজ রোববার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সিআইডির সাইবার সেন্টারের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) কামরুল আহসান এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক চৌধুরী সাইফুল আলম বেগ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রয়োজনে পৃথক পৃথক অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ডলার লেনদেন করতেন। সেই সুবাদে তিনি অভিযুক্ত সাজ্জাদুল আলমের সঙ্গে পরিচিত হন। মাঝেমধ্যে তিনি চিকিৎসক সাইফুলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ডলারের লেনদেন করে আসছিলেন। গত বছর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অভিযুক্ত সাজ্জাদুল আলম প্রায় ১০ লাখ টাকা পরিমাণ অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। চিকিৎসক সাইফুল বাংলাদেশে অবস্থানরত আরেক চিকিৎসক ফাহিম আহমেদকে দেওয়ার জন্য ওই অর্থ সাজ্জাদুল আলমকে দিয়েছিলেন।

একপর্যায়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদুল আলম চিকিৎসক সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। উপায় না পেয়ে সাইফুল সাইবার পুলিশ সিআইডির কাছে অভিযোগ করেন।

সিআইডি কর্মকর্তা কামরুল আহসান আরও বলেন, সিআইডি সাইবার পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখেন, অভিযুক্ত সাজ্জাদুল আলম পূর্বে একজন আইটি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি রাতারাতি বিত্তবান হওয়ার আশায় অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের ডলার লেনদেনের ব্যবসা শুরু করেন। প্রবাসী ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি আগে অল্প অল্প করে কিছু টাকা পাঠান। ফলে বিশ্বস্ততা তৈরি হয়। তিনি আমেরিকাপ্রবাসী তাহমিদের সঙ্গেও প্রতারণা করেন। এ ছাড়া সাজ্জাদুল দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে প্রতারণা করে পেপালের ডলার নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। অভিযুক্ত সাজ্জাদুল আলম প্রতারণার মাধ্যমে পাওয়া ডলার দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন বেটিং করতেন। অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর নামে কোর্টে তিনটি সিআর মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলার বাদী ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।