অনুমতি ছাড়া সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ

অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে মিছিল-সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

গতকাল বুধবার মধ্যরাতে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ডিএমপির ওই নির্দেশনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান। এই সংগঠনের অন্যতম নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক।

পরিষদ মনে করে, ডিএমপির এই নির্দেশনা ‘অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও সংবিধানের পরিপন্থী’। সংবিধানপরিপন্থী কাজ থেকে ডিএমপিকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ।

গতকাল ডিএমপি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে মিছিল ও সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে স্মরণ করিয়ে দেয়।

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইদানীং অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আইনে বৈধ কোনো দল বা গোষ্ঠীর সমাবেশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে কর্মসূচি পালন ও শব্দযন্ত্র ব্যবহারে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি ছাড়া কেউ কর্মসূচি নিলে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এদিন মধ্যরাতে ছাত্র অধিকার পরিষদও এ বিষয়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল।

ছাত্র অধিকার পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত হলো জনগণকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনগণের গণতান্ত্রিক কর্মসূচির (সভা-সমাবেশ-মিছিল-মিটিং) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের স্বৈরতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ বলেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, করোনা মহামারিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাটসহ সাম্প্রতিক নানা অপকর্মের কারণে সরকারের প্রতি যে জনরোষ তৈরি হয়েছে, তা রুখতেই সরকার ও প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজয়ের মাসে সংবিধানবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। তারা প্রশাসনকেও গণবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।