অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা বুয়েট ছাত্র কারাগারে

প্রতীকী ছবি

অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত রোববার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজানুর ইসলাম।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম আরমান সাঈদ। তিনি বুয়েটের বস্তু ও ধাতব প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র।

মামলার নথি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের স্নাতক কোর্সে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির শেখ কামাল ভবনে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী ছিলেন তানভীর হাসান। তবে তানভীর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন আরমান সাঈদ। পরীক্ষা চলাকালে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে শেরেবাংলা নগর থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় বুয়েট ছাত্র আরমান সাঈদ ও মূল পরিক্ষার্থী তানভীর হাসানের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা হয়। তানভীর বর্তমানে পলাতক।

মামলার বাদী ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (নিরাপত্তা) জাবের আলী প্রথম আলোকে বলেন, মূল পরীক্ষার্থী হলেন তানভীর হাসান। তাঁর ছবি, স্বাক্ষরসহ অন্যান্য সব তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। তবে তানভীর হাসানের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন বুয়েট ছাত্র আরমান সাঈদ। পরীক্ষা চলার সময় হলের পরিদর্শকদের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে তিনি স্বীকার করেননি, তিনি বুয়েটে পড়াশোনা করেন। তিনি প্রথমে নিজেকে রংপুর কারমাইকেল কলেজর ছাত্র, অন্য নাম বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরমান তাঁর প্রকৃত নাম ও পরিচয় দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সুজানুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরমান জানান, মূল পরীক্ষার্থী তানভীর তাঁর পূর্বপরিচিত।

অবশ্য আরমান সাঈদের আইনজীবী এস এম জাকির হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আরমান সাঈদ বুয়েটের শিক্ষার্থী। তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।

যোগাযোগ করা হলে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণকেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আরমান সাঈদ নামের বুয়েটের কোনো ছাত্র গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন কি না, সেই তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।