আদালতের প্রতি অনাস্থা জানাল আসামিপক্ষ

আবরার ফাহাদ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আরও একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি হলেন পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ফরেনসিক বিভাগের পরিদর্শক এ কে নাজমুল হোসেন। তিনি একজন আলোকচিত্র বিশারদ।

নাজমুল হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিকে আসামিপক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়েছে।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে এই আবেদন জানানো হয়।

মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন অবস্থায় মিথ্যা অজুহাত তুলে মামলার বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য আসামিপক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল গনী প্রথম আলোকে বলেন, আসামিপক্ষকে না জানিয়ে একজন সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, যা আইনের পরিপন্থী।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস সোবহান তরফদার, প্রশান্ত কুমার কর্মকার, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মশিউর রহমান। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন মাহাবুব আহমেদ, আমিনুল গণী, গাজী জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

গত বছরের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি অভিযোগপত্রটি আমলে নেন আদালত।

তিন আসামি পলাতক। গত ২ সেপ্টেম্বর বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে পরস্পরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।