ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের তিন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে পলাতক পি কে হালদারের অর্থ আত্মসাতের অন্যতম সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবেদ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই ও সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী।


দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল এই গ্রেপ্তার অভিযান চালায়। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক গত জানুয়ারিতে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা করে।


প্রসঙ্গত, পাঁচটি ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৫১ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি পি কে হালদারসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে দুনীতি দমন কমিশন পাঁচটি মামলা করে। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সৈয়দ আবেদ হাসান, নাহিদা রুনাই ও রাফসান রিয়াদ চৌধুরীও আসামি। আজ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।


গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা বিপুল অর্থ আত্মসাৎ​ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু, সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই চার কোম্পানি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।


দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন।