ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দুই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে পুলিশ

ইরফান সেলিম
ফাইল ছবি

ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও উপকমিশনার (মিডিয়া-জনসংযোগ) ওয়ালিদ হোসেন প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যে দুই মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে, তার একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা। অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা। রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলারই বাদী র‍্যাব।

মামলার এজাহারে র‍্যাবের ডিএডি মো. কাইয়ূম উল্লেখ করেন, চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের ২৬ নম্বরে রয়েছে ‘চান সর্দার দাদাবাড়ি’ ভবন। এই ভবনে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন—এই খবরের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর র‍্যাবের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে যান। সেখানে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব অস্ত্র–মাদকসহ গ্রেপ্তার করেন এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান মো. সেলিম ও জাহিদুল মোল্লাকে।

ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ ও অসদাচরণের অভিযোগে ইরফানকে ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর ইরফানের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন জাহিদুল। দুজনই এখন কারাগারে।

অভিযানকালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। আর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে দেন ছয় মাসের কারাদণ্ড। ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুলকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পরে রাজধানীর চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে চারটি মামলা দায়ের করে র‍্যাব।

চার মামলাই তদন্ত করেন চকবাজার থানার পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মামলা–সম্পর্কিত কাগজপত্র আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।

অভিযানের আগের দিন ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ইরফান, জাহিদসহ তাঁর আরও চার-পাঁচজন সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পর সকালে বাদী হয়ে নৌবাহিনী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্ত করছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (লালবাগ)। ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (লালবাগ) বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক প্রথম আলোকে জানান, এই মামলায় ইরফান দায় স্বীকার করেননি।