উচ্ছেদ অভিযান কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়: তাপস

রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠসংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস
ছবি: মোহাম্মদ মোস্তফা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে চলমান অভিযান কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে। এ অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার দুপুরে ডিএসসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো বালুর মাঠসংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।

নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দিয়ে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গতকাল মঙ্গলবার এই আবেদন করেন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। আদালত গতকাল কোনো আদেশ দেননি। তবে আবেদনকারী দেলোয়ার হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আজ বুধবার এ বিষয়ে আদেশ হতে পারে।

আদালতে মামলা নেওয়ার আবেদনের পর সাঈদ খোকন গতকাল কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাপস (মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস) দেলুকে (দেলোয়ার হোসেন) দিয়ে এসব করাচ্ছেন। এতে তাঁর ব্যক্তিগত, দলীয় ও পারিবারিক ইমেজ (ভাবমূর্তি) নষ্ট হচ্ছে।

সাঈদ খোকনের ওই বক্তব্যের পর আজ কোনো ব্যক্তির নাম না উল্লেখ করে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘গতকাল সংবাদমাধ্যমে একটি বিষয়ে প্রচারিত হয়েছে। আমি আবারও খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের এই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক না।’

অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘কোনোভাবেই এই কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আমরা কোনোভাবেই সেটাতে আপস করব না।’

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সুশাসিত ঢাকা আমাদের ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। স্বশাসিত ঢাকা ছাড়া উন্নত ঢাকা গড়া সম্ভব নয়। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি এতে হেয় প্রতিপন্ন হন, লজ্জিত হন, সেটা সেই ব্যক্তির বিষয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিষয় নয়।’

সিটি করপোরেশন থেকে দুর্নীতি নির্মূল করারও ঘোষণা দেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, কোনো অবহেলা, কোনো অসদাচরণ, কোনো আত্মসাৎ বরদাস্ত করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী যে রূপকল্প দিয়েছেন, সেই রূপকল্প বাস্তবায়নই মূল লক্ষ্য।

নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে ৮ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ অভিযান চালাচ্ছে ডিএসসিসি।

সংস্থাটি বলছে, নকশা অনুযায়ী মার্কেটটিতে ২ হাজার ২৮২টি দোকান থাকার কথা। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেখানে নকশাবহির্ভূতভাবে আরও ৯১১টি দোকান করা হয়েছে।