উত্তরায় ৮০টি দোকান উচ্ছেদ

উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিএনএস সেন্টারের পাশের ৮৭ নম্বর প্লট থেকে গতকাল উচ্ছেদ করা দোকানের মালামাল সরাচ্ছেন দোকানিরা l ছবি: প্রথম আলো
উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিএনএস সেন্টারের পাশের ৮৭ নম্বর প্লট থেকে গতকাল উচ্ছেদ করা দোকানের মালামাল সরাচ্ছেন দোকানিরা l ছবি: প্রথম আলো

উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে রাজউক কর্মচারী শপিং কমপ্লেক্স থেকে হাউস বিল্ডিং এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৮০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ব্যবহৃত হয় দুটি বুলডোজার। এতে সহযোগিতা করেন প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য। এ সময় রাজউকের নকশার বাইরে থাকা বিভিন্ন ভবনের অতিরিক্ত অংশ, র্যাম্প, পার্কিংয়ের জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনা ও ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে ৮৫ নম্বর প্লটের আধা পাকা মার্কেট থেকে প্রায় ১৫টি অবৈধ দোকান ও কয়েকটি বাসের টিকিট কাউন্টার উচ্ছেদ করা হয়। বিএনএস সেন্টারের পাশের ৮৭ নম্বর প্লট থেকে উচ্ছেদ করা হয় প্রায় ১৫টি দোকান। ৮৯ নম্বর প্লটে থাকা সাঈদ গ্রান্ডের ফুটপাত, ১০৩ নম্বর প্লটে থাকা হোসেন টাওয়ারের ফুটপাত ও পার্কিংয়ের জায়গা থেকেও বেশ কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে বিজিএমইএ মার্কেটের উত্তর পাশে গড়ে ওঠা প্রায় ১৫টি অবৈধ দোকানও তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উল্লিখিত এলাকার বিভিন্ন জায়গা ও ফুটপাত থেকে আরও প্রায় ২০টি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।
অভিযানে কয়েকজন প্লটের মালিককে তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সে সময় অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় চান। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে তাঁদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন। প্লটের মালিকেরাও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে রাজি হন।
অভিযান চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। এ সময় রাজউক কর্মচারী শপিং কমপ্লেক্স ও বিজিবি আধা পাকা মার্কেট কর্তৃপক্ষকে পার্কিংয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাউস বিল্ডিংয়ের নর্থ টাওয়ারে পার্কিংয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা আমানা সুপার শপকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে অভিযান দল হরিরামপুর ইউনিয়নের রানাভোলায় যায়। সেখানে নকশার বাইরে অতিরিক্ত জায়গা নিয়ে ভবন নির্মাণ করায় তিন ভবনের মালিককে সতর্ক করা হয়। পরে ভবনের মালিকেরা মূল নকশা অনুযায়ী নির্মিত ভবনের অতিরিক্ত অংশ ভেঙে ফেলতে রাজি হন।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজউকের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান চলছে। প্রথমে মহাসড়কের দুই পাশ পরিষ্কার করা হবে। পরে সব সেক্টরে এই অভিযান চলবে।’