উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সভার রেজল্যুশন চেয়েছেন হাইকোর্ট

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ কাটা হয়েছে।
ফাইল ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে ২৪ জুন অনুষ্ঠিত সভার রেজল্যুশন আদালতে উপস্থাপন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রিট আবেদনকারীদের কাছেও ওই রেজল্যুশন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উদ্যানের গাছ কাটা রোধ ও প্রকল্পের নামে কেটে ফেলা গাছের তিন গুণ গাছ লাগাতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত এ কথা বলেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার ওই শুনানি হয়।

পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ৯ মে ওই রিটটি করেন। ২০ মে রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ থাকবে জানিয়ে সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আরজি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

মধ্যাহ্নবিরতির পর শুনানির শুরুতে সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে চলমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয় নিয়ে ২৪ জুন সভা হয়েছে। এর রেজল্যুশন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গাছ কাটাসংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ আছে। রিট আবেদনকারীদের মূল বিষয় ছিল গাছ যেন কাটা না হয়।

এ সময় আদালত বলেন, ওই মিটিংয়ের রেজল্যুশন কবে পাওয়া যাবে? তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘রেজল্যুশন চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ফাইলটি এখন আছে বলে জেনেছি। এটি চূড়ান্ত হলে পাওয়া যাবে।’

আদালত বলেন, রেজল্যুশন চূড়ান্ত হলে এর কপি আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। রেজল্যুশনের কপি রিট আবেদনকারীদের দিতে হবে। দুই সপ্তাহ সময়ের আরজি জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রেজল্যুশন হাতে পেলে অনুলিপি দাখিল ও সরবরাহ করা যাবে। পরে আদালত ১৪ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

রিট আবেদনকারী ছয় সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।