এ মাসেই কিছু আইপি টিভির অনুমোদন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ২ আগস্ট, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) টিভির নিবন্ধনের জন্য এখন পর্যন্ত ছয় শর কাছাকাছি আবেদন পড়েছে। এখনো কোনো আইপি টিভিকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যাচাই-বাছাই শেষে এ মাসের মধ্যেই কিছু আইপি টিভির অনুমোদন দেওয়া হবে। আর নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না।

সচিবালয়ে আজ সোমবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তথ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘জয়যাত্রা’ আইপি টিভি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এ কথা জানালেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া মাসে এক কোটি টিকা দেওয়ার ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’ সংক্রান্ত মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার রোডম্যাপ ঠিক করেই এই ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির নেতারা টিকা নিয়ে বরাবরই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ‘সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশে মৃত্যুহার বেড়েছে’ শীর্ষক বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ও উপমহাদেশের পরিস্থিতি তাঁর অজানা থাকার কথা নয়। করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরন পৃথিবীর এক শর বেশি দেশে ছড়িয়েছে।

যেসব দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও এই ধরন ছড়িয়েছে। অনেক দেশে, অনেক অঞ্চলে যেখানে সবকিছু মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল সেখানে আবার নতুনভাবে স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়েছে। এগুলো জাফরুল্লাহ সাহেব জেনেও মাঝেমধ্যে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু কথাবার্তা বলেন। তাঁর এই বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক ছাড়া অন্য কোনো কিছু না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুরু থেকেই করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে এবং সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে করোনার প্রথম ঢেউ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলা করা গেছে। দ্বিতীয় ঢেউও এখন পর্যন্ত অনেকটা মোকাবিলা করা গেছে।

‘বিধিনিষেধের মধ্যেই রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া, শ্রমিকদের দুর্ভোগ, ব্যাপক করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা এবং এ নিয়ে কেন সচিব পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেই সরকারের কাছে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সচিব বৈঠক করলেও সিদ্ধান্তটি কোনো ব্যক্তি বা সচিবের নয়। এটি সরকারেরই সিদ্ধান্ত। তবে তৈরি পোশাক কারাখানার মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঢাকায় অবস্থান করা বা ঢাকার আশপাশে যেসব শ্রমিক আছেন, তাঁদের দিয়ে তাঁরা আপাতত শুরু করবেন। কোনো কোনো গার্মেন্টস মালিক সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তাঁদের পক্ষ থেকে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদেরও কাজে যোগদান করার জন্য ফোন করা হয়েছে। এখানেই বিভ্রান্তিটা হয়েছে।