কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় বিআরটিসির বাস ফেলে পালালেন চালক–সহকারী

ছবি: সাজিদ হোসেন

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসির ফলপ্রত্যাশী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বি এ এফ শাহীন কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ ও একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে মানববন্ধন করেন।

এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এর মধ্যে কয়েকটিতে লেখা ছিল, ‘আমার বাবা কাঁদছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে’, ‘ছাত্রজনতা ঐক্য গড়, নিরাপদ সড়কের দাবি তোল’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘অ্যাম আই নেক্সট’, ‘রাতের আঁধারে শিক্ষার্থী মরে, প্রশাসন ঘুম পাড়ে’। দুর্জয় নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার চাওয়া ছাড়াও গণপরিবহনে হাফ পাস নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রামপুরায় শিক্ষার্থীরা গাড়ির চালকের লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করছেন। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের কাগজ যাচাই–বাছাইয়ের সময় রাস্তায় বিআরটিসির একটি বাস ফেলে পালিয়ে গেছেন চালক ও তাঁর সহকারী।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘আন্দোলের কারণে কোনো রোগী ও পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য জরুরি লেন করে কিছু গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছি।’

দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমরা দেখছি, অনেক গাড়ির চালক লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছেন। এসব চালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।’ সে বলে, দূরপাল্লার বাস, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীর সড়ক অবরোধ করার কারণে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবুল হোটেল থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হন দুর্জয়। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাইনুদ্দিনের বাবা রামপুরায় একটি চায়ের দোকান চালান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে দুর্জয় সবার ছোট। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ওই রাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন এবং এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।