কিছু বেঁচেছে কি না, খুঁজছেন পোড়া বস্তির লোকেরা

সাততলা বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অনেকের ঘরছবি : ড্রিঞ্জা চাম্বুগং

রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুনে পুড়ে গেছে ২০০ ঘর ও ৩৫টির বেশি দোকান। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে লাগা এই আগুন দিবাগত রাত ১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বস্তিতে কিছু রক্ষা পেয়েছে কি না, তার খোঁজ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। সবকিছু সরিয়ে দেখছেন তাঁরা। পোড়া জিনিসপত্র হাতড়াচ্ছেন। যাঁদের দোকান ছিল, তাঁরা মালামাল খুঁজছেন। বস্তির আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন খোঁজখবর নিতে আসছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত একজন বলেন, বস্তিতে ঘর ছিল ২০০টির বেশি। এখানে প্রায় ৩৫টি দোকান ছিল। সব পুড়ে গেছে।

পুড়ে যাওয়া ঘরে কিছু বেঁচে গেছে কিনা দেখছেন এক নারী
ছবি : ড্রিঞ্জা চাম্বুগং

মুদি দোকানি আবুল কালাম বলেন, তিনি দোকান চালানোর পাশাপাশি চাল ভাঙাতেন। দোকানে ৫০টিরও বেশি চালের বস্তা ছিল। সব পুড়ে গেছে। তাঁর সাত থেকে আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বস্তির বাসিন্দা তসলিমা আক্তার মহাখালীতে একটি বাসায় কাজ করেন। তিনি তিন বছর ধরে এ বস্তিতে থাকেন। তাঁর স্বামী রিকশাচালক। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকেন। একটি ঘরের জন্য ২ হাজার ৭০০ টাকা ভাড়া দিতেন। তসলিমা জানান, বস্তির আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়ার পর এখন কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না।

পুড়ে গেছে ঘরের টিন। সেখানেই চলছে হারিয়ে যাওয়া জিনিসের খোঁজ
ছবি: ড্রিঞ্জা চাম্বুগং

ঘটনাস্থলে রাত একটার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট অংশ নেয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওখানে দোকানপাট সবই পুড়ে গেছে। তবে শেষ খবর অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্ত করতে পারেনি।

এর আগে ২০১৬ সালে সাততলা বস্তিতে আগুন লেগে শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যায়।