'কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় ৭ দিনের বেশি লাগার কথা নয়'

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

আজ বুধবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষক কমিটির কাছে কিটের নমুনা পৌঁছে দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল ও মহিবুল্লাহ খন্দকার। করোনা শনাক্তকারী কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউর কাছে এ কিট গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা হয়।

পরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কার্যকারিতা পরীক্ষায় কোনোক্রমেই সাত দিনের বেশি সময় লাগা উচিত নয়। আশা করি এ সময়ের মধ্যে আমরা একটি পজিটিভ ফলাফল পাব এবং দেশবাসীর জন্য এ কিট পর্যাপ্ত করে দেব।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর অনুমোদন দিতে দুই দিনের বেশি সময় লাগার কথা নয়। অনুমোদন পেলে সরকার যদি কিট নিতে চায় দেব এবং তাদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেব।’

বিএসএমএমইউতে হস্তান্তর শেষে মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘বিএসএমএমইউ কমিটি গতকাল মঙ্গলবার আমাদের কাছে কিটের নমুনা চেয়েছিল।’

‘আমার আজকে প্রথম দফায় কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট দিয়েছি। আমরা কমিটিকে বলেছি ওনাদের যদি কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা হয়, আমরা ওনাদের সাহায্য করব,’ বলেন তিনি।

এর আগে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, করোনা নির্ণয়ক অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন দুটি ভিন্ন হলেও দুটিতেই সফলতা পেয়েছেন তাঁরা।

তবে বিএসএমএমইউ কমিটি অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট চাইলে তারা সেটি কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য জমা দেয়।

পরবর্তী সময়ে অ্যান্টিজেন চাইলে সেটিও দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা। তিনি বলেন, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে, সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে।

এই গুরুত্বটি সবাইকে বুঝতে হবে। কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় বিএসএমএমইউর বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার জন্য চিঠি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এরপর ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে।