ক্ষমতাসীনদের দাপটের কারণে কারও নিরাপত্তা নেই: বিএনপি

বর্তমান সরকারের লোকদের ক্ষমতার দাপটের কারণে দেশের কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সম্মান নেই বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে সরকারদলীয় সাংসদ হাজি সেলিমের ছেলে ও তাঁর সহযোগীদের মারধরের ঘটনা উল্লেখ করেন এমরান সালেহ। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে মিডনাইট নির্বাচনের এক সাংসদের ছেলে ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সশস্ত্র বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তাঁর সহধর্মিণীর ওপর হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করেছেন। আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।’

এমরান সালেহ বলেন, কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা, সিলেটে পুলিশি হেফাজতে রায়হান হত্যাসহ এ ধরনের ঘটনা এখন প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে দুই আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করছে বলে অভিযোগ করেন এমরান সালেহ। এই দুই আসনের উপনির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনের আশকারা পেয়ে ক্ষমতাসীনেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গত কয়েক দিনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থীর দক্ষিণখানের কর্মিসভায় হামলা, কামারপাড়ার রানাভোলায় মহানগর নেতা মোস্তফা জামানের বাড়িতে হামলাসহ সিরাজগঞ্জ-১ আসনের নানা ঘটনা তুলে ধরেন সৈয়দ এমরান সালেহ। তিনি দাবি করেন, সরকারের কাছে একটি বিষয় সন্দেহাতীতভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই তারা দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে সব নির্বাচন কবজা করতে চায়।

এমরান সালেহ ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্যথায় ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার পরিণতি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা জনগণ বুঝিয়ে দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সেলিম ভূঁইয়া, হারুনুর রশীদ, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু প্রমুখ।