খিলক্ষেতে টিসিবির পরিবেশককে পুলিশের মারধরের অভিযোগ

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিবেশককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিবেশকের নাম ফোরকান হোসেন। প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স আড়িয়াল খাঁ এন্টারপ্রাইজ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে খিলক্ষেত রেলগেট পয়েন্টে কর্মীসহ তিনি পণ্য বিক্রির সময় মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ফোরকান হোসেন।

ফোরকান হোসেনের অভিযোগ, খিলক্ষেত থানা–পুলিশের একটি টহল গাড়ি এসে প্রথমেই তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওই জায়গা থেকে গাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেন। তিনি (পরিবেশক) যেখানে আছেন, সেটা টিসিবির পণ্য বিক্রির খিলক্ষেতের রেলগেট পয়েন্ট জানালে তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। টিসিবির পরিবেশকের কাগজপত্র দেখালে উল্টো পুলিশের সদস্যরা তাঁকে ঘাড়ে ধরে মারধর করেন। তাঁর পণ্য পরিমাপের যন্ত্রটিও পুলিশ সদস্যরা ভেঙে ফেলেছেন বলেও তিনি জানান।

ফোরকান হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন আমি খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রি করি। আজও পণ্য বিক্রি করছিলাম। জনসাধারণের চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। তবু এভাবে জোর করে আমাকে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।’ তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খিলক্ষেত বাজারের ভেতরের অবস্থান করছেন বলেও জানান।
টিসিবির পরিবেশককে রেলগেট পয়েন্ট থেকে সরিয়ে দেন খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাস্তায় দুই লাইনে দোকান আছে।

আবার মোটরসাইকেল পার্ক করা। এরপর রাস্তায় ওই টিসিবির গাড়ি। তাকে (টিসিবির পরিবেশক) সরতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। আপনি অন্যত্র গিয়ে বিক্রি করেন। সে টিসিবির কাগজ দেখিলে আমাকে বলে, আমি ট্রাকসেল। আমি রাস্তাতেই থাকব।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তাঁর ব্যবসার জন্য রাস্তায় আমি তো জনগণকে ভোগান্তি দেব না। তাঁকে এটাও বলা হয়েছে, আপনি মেট্রোরেলের ওই দিকটাই যান। যারা পণ্য কিনবে, তারা ওই পাশ থেকেই কিনবে। সে সেখানেও যেতে চাইলেন না। কিন্তু আমার তো তাঁকে ওই জায়গা থেকে সরাতে হবে। তিনি টিসিবির ডিলার হলেও যেখানে খুশি সেখানে রাখতে পারেন না। তাঁকে কোনো রকম মারধর করা হয়নি। তাঁর মিটার স্কেলও ভাঙা হয়নি।’ তাঁকে শুধু ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবির তালিকাভুক্ত পরিবেশক আড়িয়াল খাঁ এন্টারপ্রাইজের মালিক ফোরকান হোসেনকে নিয়মিত খিলক্ষেত রেলগেটের ওই পয়েন্টেই পণ্য বিক্রির জন্য নিয়োগ করা হয়। কাজটি তিনি সব সময় রাস্তার একপাশে কোনার দিকে করে থাকেন। ওই এলাকায় ট্রাকসেলের আশপাশে অনেক হকার ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা এভাবে পণ্য বিক্রি করেন। ঘটনার সময় ওই রাস্তায় কোনো যানজট ছিল না। এরপরও পুলিশ তাঁকে ওই জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়েছে।