গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৩০ ভাগ ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৩০ ভাগ ঝুঁকি ভাতার দাবিতে শোভাযাত্রার পর সমাবেশ করেছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন
ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক সমাবেশে শ্রমিকনেতারা বলেছেন, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে মালিকেরা অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু যে শ্রমিকদের ঘামে গার্মেন্টস চলে, তাঁদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকেরা ঝুঁকি নিয়ে মেশিন চালাচ্ছেন। তাঁদের জন্যই দেশ চলছে। শ্রমিকেরাই দেশের মেরুদণ্ড। তাই শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখতে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন শ্রমিকনেতারা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৩০ ভাগ ঝুঁকি ভাতার দাবিতে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এই সমাবেশের আয়োজন করে।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের শোভাযাত্রা
ছবি: দীপু মালাকার

সমাবেশের আগে শ্রমিকেরা শোভাযাত্রা বের করেন। তাঁরা পল্টন মোড় থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রা করে প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সদস্যরা অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি কম। তাই শ্রমিকেরা ওভার টাইমের ওপর নির্ভর করেন। করোনার সময় ওভার টাইম না থাকা ও অন্যান্য কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাসিক আয় কমে গেছে। অথচ দ্রব্যমূল্য, ঘরভাড়া ইত্যাদি অনেক বেড়ে গেছে। ফলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবন-সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে। অন্যদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

জীবনের ঝুঁকি, চাকরির ঝুঁকি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি—সব মিলিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবন আজ অতিষ্ঠ। এই অসহনীয়, করুণ অবস্থায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৩০ ভাগ ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে শ্রমিকনেতারা বলেন, করোনায় সংক্রমিত হলে শ্রমিকদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বয়স চল্লিশের বেশি হলে চাকরিচ্যুত করা হয়। হয়রানি, নির্যাতন, শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত আছে। টিকমতো মাসিক বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বেতন নিয়ে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। অথচ সরকার মালিকদের সহায়তা দিচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারকে শ্রমিকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তাঁরা।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি ফারুক খান, কোষাধ্যক্ষ নাসিমা আক্তার প্রমুখ।