গুলিস্তানে বাসের চাপায় মেয়ের সামনে মায়ের মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জ থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়ে সুমাইয়াকে (১৮) ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন পারভীন বেগম (৪০)। ফেরার পথে হাসপাতাল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে নামেন। এরপর মুন্সিগঞ্জের গাড়িতে ওঠার জন্য দুজন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় দুটি বাসের মাঝখানে পড়ে যান পারভীন বেগম। গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। আজ রোববার দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাস্তা পার হওয়ার সময় মায়ের একটু পেছনে থাকায় বেঁচে গেছেন সুমাইয়া। তাঁর চোখের সামনেই গুলিস্তানে গোলাপ শাহ্ মাজার এলাকায় ঘটে যায় এ দুর্ঘটনা।

সুমাইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাতজ্বরের রোগী। মুন্সিগঞ্জ থেকে মায়ের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে আসেন তাঁরা। রাস্তা পার হওয়ার সময় মল্লিক পরিবহন তাঁর মাকে চাপা দেয়।

পারভীন বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেড ক্রিসেন্টকর্মী হুমায়ূন কবির উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গোলাপ শাহর মাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস আরাম পরিবহন ও মল্লিক পরিবহন নামে দুটি বাসের মাঝখানে পড়ে যান। খবর পেয়ে নিহত নারীর স্বামী আবদুল বাসেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পারভীন বেগম মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই কন্যা সন্তানের মা।