চওড়া হলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সরু গলি

উচ্ছেদের পর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে প্রবেশের গলিটি। সড়কটিতে শিগগিরই কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক বাংলামোটর মোড়ের কিছুটা দক্ষিণ দিক হয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গলিতে প্রবেশের পথটি ছিল সরু। এ জন্য গলিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়তেন চালকেরা। সৃষ্টি হতো যানজটের। মাঝেমধ্যে গাড়ির চাপে গলিতে প্রবেশের সময়ে দুর্ঘটনাও ঘটত। অবশেষে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এই সড়ক চওড়া করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সড়কটির দুই পাশের স্থাপনা ও দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। এতে ১৪ ফুটের সড়কটি এখন ২০ ফুট চওড়া হয়েছে।

২৫ বছর ধরে সড়কটি চওড়া করার দাবি জানিয়ে আসছেন গলির আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দারা। অভিযান চালিয়ে সড়কটি চওড়া করায় গলির বাসিন্দারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, অভিযানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাস্তার বাঁ পাশে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানা থেকে তিন ফুট ও ডান পাশে অবস্থিত ব্যক্তিগত স্থাপনাগুলোর সীমানা থেকে তিন ফুট করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

অভিযানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাস্তার দুই পাশ থেকে তিন ফুট করে উচ্ছেদ করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছেরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত লোকজনের পক্ষে করপোরেশনের মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘রাস্তাটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘ ২৫ বছরের চাওয়া পূর্ণতা লাভ করল। এই রাস্তাসহ ঢাকা শহরের গলির আকার ধারণ করা রাস্তাগুলো সম্প্রসারণের জন্য আমরা আন্দোলনও করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় রাজউক গলির রাস্তা ন্যূনতম ২০ ফুট রাখার নীতিমালা করে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী নতুন এলাকার রাস্তাগুলো সম্প্রসারণ করা হলেও বিদ্যমান রাস্তাগুলো আর সম্প্রসারণ করা যায়নি। এ জন্য আমরা করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে বারবার অনুরোধ জানিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মেয়রকে রাস্তাটি সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ জানাই।

বর্তমান মেয়র আমাদের সেই দাবি অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। ফলে আজকের এই সম্প্রসারণ সম্ভব হলো। সে জন্য আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’

উচ্ছেদ প্রসঙ্গে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সর্বজনশ্রদ্ধেয়। তাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তা প্রশস্তকরণের আন্তরিক চাওয়াকে আমরা সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এতে দুটি গাড়ি অনায়াসে পাশাপাশি চলতে পারবে। এতে এলাকাটি যানজটমুক্ত হবে এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এই উদ্যোগ গ্রহণে সরব থাকায় এলাকাবাসীসহ স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর রাস্তা প্রশস্তকরণে সহযোগিতা করায় বিআইডব্লিটিসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জানাই।’