চকবাজারে নকল প্রসাধনীর কারখানা-গোডাউন সিলগালা

চকবাজারের বড়কাটরা এলাকায় বহুতল একটি ভবনের কয়েকটি কক্ষে এসব নকল প্রসাধনী তৈরির সামগ্রী পড়ে আছে।
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় নামীদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী তৈরির চারটি কারখানা ও ছয়টি গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তবে নকল প্রসাধনী তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। এসব প্রসাধনী বিক্রির অভিযোগে আট দোকানমালিককে সাড়ে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব কারখানা ও গোডাউন সিলগালা করেন। আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

অভিযানে দেখা যায়, চকবাজারের বড়কাটরা এলাকায় বহুতল একটি ভবনের কয়েকটি কক্ষে এসব নকল প্রসাধনী তৈরির সামগ্রী পড়ে আছে। এর মধ্যে দুটি কক্ষ নানা উপকরণের সংমিশ্রণের কাজে ব্যবহার করা হতো। আরেকটি কক্ষে এসব সামগ্রী প্যাকেটজাত করা হতো। এসব কক্ষের পাশেই রয়েছে একটি অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার।

র‍্যাবের অভিযান পরিচালনাকারী দল ওই ভবনে পৌঁছানোর আগেই ওই কারখানায় কর্মরত লোকজন সটকে পড়েন। র‍্যাবের সদস্যরা সেখানে অন্তত ২১ ধরনের প্রসাধনসামগ্রী তৈরির উপাদান ও টিউব পান। এরপর চকবাজারের মরিয়ম প্লাজার ৮টি দোকানে অভিযান চালান আদালত। আদালত সূত্র জানিয়েছে, বড়কাটরা এলাকার কারখানায় তৈরি নকল প্রসাধনী এসব দোকানে বিক্রি করা হতো।

অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলমান অভিযানে নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া দোকানসংশ্লিষ্ট দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাবান, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, ত্বক উজ্জ্বলকারী ক্রিমসহ ২১ ধরনের নকল প্রসাধনী তাঁরা পেয়েছেন। এসব প্রসাধনীতে সৌরভ এমভাবে মেশানো হতো, যাতে কোনোভাবেই বোঝা যাবে না এগুলো আসল না নকল। নকল এমন প্রসাধনী ব্যবহারে ক্যানসারসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।

এর আগেও চকবাজার এলাকায় বেশ কয়েকবার নকল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে। এরপরও এই প্রবণতা বন্ধ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সারওয়ার আলম বলেন, নকল প্রসাধনীতে এত বেশি লাভ যে ব্যবসায়ীরা লোভ সামলাতে পারছেন না। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা না করলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।