চলে গেলেন হায়দার আনোয়ার খান জুনো

হায়দার আনোয়ার খান জুনো
ছবি: সংগৃহীত

কমিউনিস্ট নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হায়দার আনোয়ার খান জুনো (৭৬) আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ১ মেয়ে, ১ ছেলে ও ৩ নাতি রেখে গেছেন।
জুনো, কমিউনিস্ট নেতা হায়দার আকবর খান রণোর ছোট ভাই।
কমিউনিস্ট নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হায়দার আনোয়ার খান জুনো গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিউমোনিয়ার মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় হায়দার আনোয়ার খানকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাঁর মেয়ে অনন্যা লাবণী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন আমার বাবা হায়দার আনোয়ার খান জুনো ১৫ সেপ্টেম্বর রাত হতে সিভিয়ার নিউমোনিয়া ও পরবর্তীতে হার্ট আ্যটাক নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল ও আনস্টেবল। হার্ট, লাং ও কিডনির ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। সবাই ওনার জন্য প্রার্থনা করবেন।’

হায়দার আনোয়ারের জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কলকাতায়। তার পৈতৃক বাড়ি নড়াইল জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি পাশ করেন। তবে স্কুল জীবন থেকেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ছিলেন বাম রাজনীতির চীনপন্থী শিবিরে।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হয়ে কারাবরণ করেন তিনি। তখন তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন গঠিত হলে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলা দলে ছিলেন হায়দার আনোয়ার। তিনি বোমা তৈরির কাজ করতেন। প্রতিরোধ যুদ্ধেও অংশ নেন এই গেরিলা।
জুনোর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর, এনডিপি শোক প্রকাশ করেছে।