চার দিন পর খুলল মার্কেট–শপিং মল, আসছেন ক্রেতারা

পর্যটন এলাকা রাঙামাটির বিপণিবিতানগুলো খুলেছে। মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে কেনাবেচা শুরু হয়
ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

‘লকডাউনের’ কারণে টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ শুক্রবার খুলেছে ঢাকার দোকানপাট ও বিপণিবিতান। একই চিত্র দেশের অন্যান্য মহানগর ও জেলার ক্ষেত্রেও।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল নয়টা থেকে বিপণিবিতান খোলেন ব্যবসায়ীরা, খোলা থাকবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

তবে শপিং মল ও মার্কেটগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
বিপণিবিতান খুললেও খুব অল্প ক্রেতা আসছেন বলে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘লোকজন আসছে। অন্যান্য সময়ের ক্রেতাসমাগমের চেয়ে যদিও তা ৮০ শতাংশ কম। তবু আসছে। আশা করি, জুমার নামাজের পর ক্রেতা বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা নিয়ে ব্যস্ত আছি। দোকানদারদের বলছি, স্বাস্থ্যবিধি না মানতে পারলে চলে যান। কারণ, নিউমার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে এর প্রভাব পড়বে পুরো দেশে। কেউ মানবে না।’

চাঁদনী চক বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, বিপণিবিতানটির সব দোকানই খুলেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কেটের প্রবেশপথে একটা জীবাণুনাশক টানেল রেখেছি। এ ছাড়া মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।’

এ ছাড়া প্রতিটি দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে এবং দু-একজনের অধিক ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মনির।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে সাত দিনের জন্য ‘লকডাউন’ কার্যকর হয়, বন্ধ হয়ে যায় শপিং মলগুলোও। এরপর টানা আন্দোলন চালায় নিউমার্কেট এলাকার বিপণিবিতানগুলো, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও ঢাকার আরও কিছু বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা।

আগামী বুধবার পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। সে জন্য পয়লা বৈশাখের আগের দিন, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও এরপর খোলা রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
লকডাউন ঘোষণা করেও দাবির মুখে গত বুধবার থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনে গণপরিবহন চালু রাখার ঘোষণা আসে এবং গতকাল আসে বিপণিবিতান খোলার সিদ্ধান্ত।

পয়লা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে পোশাকের ব্যবসা চাঙা হয়। ব্যবসায়ীদের মতে, সারা বছরের প্রায় অর্ধেক বিক্রি এই দুই উৎসবে। বৈশাখকেন্দ্রিক বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো প্রতিবছরই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন না হওয়ায় ব্যবসায় যে লোকসান হয়েছে, তা কাটাতে চলতি বছর আশায় বুক বাঁধেন ব্যবসায়ীরা। বৈশাখে বিক্রির জন্য পণ্যসামগ্রীও প্রস্তুত রেখেছেন।