চার বছরে বাস্তবায়ন নেই, নতুন করে শুরুর ঘোষণা

ফাইল ছবি।

রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নতুন ৪ হাজার বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। তিনি মারা যাওয়ার পর দায়িত্ব বর্তায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের ওপর। এরপর তাঁর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ১১টি সভা করল। সাঈদ খোকনের জায়গায় দায়িত্ব পেলেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তাঁর নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার ১২তম সভায় জানানো হলো, নতুন করে যাত্রা শুরু করতে হবে।

ঢাকার গণপরিবহনের মালিক দুই হাজারের বেশি। আর ঢাকা ও আশপাশে ২০০–এর বেশি পথে (রুট) বাস চলাচল করে। যাত্রী তোলার জন্য এক বাসের চালক অন্য বাসের সঙ্গে পাল্লায় লিপ্ত হন। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ে। এই ব্যবস্থা পরিবর্তনে ২০০৪ সালে ঢাকার জন্য করা ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনায় ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ বা বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে লক্কড়ঝক্কড় বাস তুলে নেওয়া। সহজ শর্তের ঋণে নতুন বাস নামানো। বাস চলবে ৫-৬টি কোম্পানির অধীনে। মালিকেরা বিনিয়োগের হার অনুসারে লভ্যাংশ পাবেন।

এদিকে গতকালের সভা শেষে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এর আগের সভাগুলোতে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তগুলো এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে নতুনভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে। অনেকটা নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাসের বিশেষ ব্যবস্থা চালুর কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। তবে সেই প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী সময়ে আর কোনো কার্যক্রম নেওয়া হয়নি। এ জন্য আগামী মাসে আবার সভা হবে। এরপরই বাস্তবতার কাছাকাছি যাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তিনি।

মেয়র ছাড়া কমিটির সবাই আগে থেকেই আছেন। এত দিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি, এখন তাহলে কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পরিষ্কার করেছি যে সিদ্ধান্ত সবাই মিলে বাস্তবায়ন করবেন। এর ব্যত্যয় হলে সরকারকে জানাব যে এই কমিটির আর প্রয়োজন নেই।’

কমিটির সদস্য ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকালের সভায় বলেন, এত দিন কেন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন থেকে ভালোভাবে কাজ হবে বলে তিনি জানান।