চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাতভর অভিযান, গ্রেপ্তার ৩৪

প্রতীকী ছবি

শীতকালে রাজধানীতে দোকান, বাসাবাড়ি, বিপণিবিতানে ডাকাতি ও চুরি বেড়ে যায়। এসব প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের ৩২টি দল বুধবার রাতভর পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশের ভাষ্য, বছরের শেষের দিকে শীত শুরু হয়। এ সময় অনেকেই বার্ষিক ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এতে বাসাবাড়ি খালি থাকে। এই সুযোগটি ব্যবহার করে চুরি ও ডাকাতি করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. অপু (২৩), রজব আলী (৪০), মো. রাসেল ওরফে রুবেল (২৮), ইউনুস আলী (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৮), মুরাদ শিকদার (২৩), মো. নয়ন (৩০), মো. পারভেজ (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৮), রাকিব হাসান ওরফে কনক (২৬), মো. ইব্রাহিম (২৩), আমির হোসেন (২২), মাইনুদ্দিন ওরফে কালু (১৯), মো. রনি (২০), মো. রুবেল হাসান (২০), সাব্বির হোসেন (১৯), আরিফুল ইসলাম (২৩), অন্তর মিয়া (১৯), মামুন হোসেন (২০), ওয়াজিব হোসেন (১৯), শাওন (২২), শাকিল ওরফে লাদেন (২৪), রবিন (২৩), হাবিবুর রহমান (২৭), নুর আলম বাবু ওরফে পিচ্চি বাবু (২৫), রমজান (২৪), রুবেল হাওলাদার (২৭), মো. শাহিন (২১), নয়ন মিয়া (২৮), সোহেল খান (২৫), বাদল বিশ্বাস (২৬), আহাম্মদ আলী মাতব্বর ওরফে পিচ্চি (৩৫), মো. আলমগীর (২৭) ও রফিকুল ইসলাম (৩০)।

অভিযানের সমন্বয়ক ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, রাজধানীর চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, তেজগাঁও, নাখালপাড়া ও মিরপুরে অভিযান চালিয়ে ওই ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁদের মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও ও মিরপুর থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে ৪টি ও বাকি ৮ জনের বিরুদ্ধে দুটি চুরির মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় হাতেনাতে ধরা হয়। কোন এলাকা থেকে কতজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানাতে পারেননি ডিবির ওই কর্মকর্তা।

পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪ জনের বিষয়ে জানাতে ডিএমপির মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘সবাই সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে। বিশেষ করে কারও বাসায় নতুন দারোয়ান বা মালি নিয়োগ দিলে, তা যেন সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়। তাহলে বাসা–বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাগুলো কমে আসবে। অথবা চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো ঘটলে তাদের সহজেই গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।’

এ কে এম হাফিজ আরও বলেন, গ্রিল কেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে চোরেরা বাসার রান্নাঘর ও বাথরুমের পেছনের অংশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। যাঁরা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান, তাঁরা বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারেন। জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এরপরও যদি এমন ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে পুলিশকে জানাতে হবে। যেকোনো ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখাই পুলিশের লক্ষ্য।’