ছাত্রদল নেত্রীর কর্মসূচি পণ্ড করে দিল ছাত্রলীগ নেতারা
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ডাকা অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুই পক্ষের কয়েকজন নেতার মধ্যে একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা দুইটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম, নেতা নাহিদুজ্জামান শিপনসহ তিন-চারজন। তখন দুটি মোটরসাইকেলে করে ভাস্কর্যের সামনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত স্যার এ এফ রহমান হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবদুর রহিমসহ চারজন। মোটরসাইকেল থেকে নেমে ভাস্কর্যের পাদদেশে ওঠেন তাঁরা। আমির হামজা ছাত্রদলের কর্মসূচির ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। সে সময় ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলমের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় আমিরের। একপর্যায়ে মানসুরা আমিরের পায়ে লাথি মারেন। আমিরও তখন মানসুরাকে ধাক্কা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলেন ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহিম। ব্যানারে আগুন ধরিয়ে তা ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ছাত্রলীগের ওই চার নেতা-কর্মী। ঘটনাস্থলে কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত থাকলেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাঁদের ছবি তুলতে বাধা দেন ও নিষেধ করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একজন সংক্ষুব্ধ নারী হিসেবে মানসুরা আলম অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন। এতে বাধা দিয়ে ছাত্রলীগ প্রমাণ করল যে প্রতিবাদ করার ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারে তাঁদের বিশ্বাস নেই৷ এ ঘটনা ছাত্রলীগের পৈশাচিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ডাকা কর্মসূচিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিকে প্রতিহত করবেন—এটাই স্বাভাবিক বলে আমরা মনে করি।’