জমজ নবজাতকের মৃত্যু: রায় যেকোনো দিন

তিন হাসপাতাল ঘুরে জমজ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষাপটে স্বতঃপ্রণোদিত রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় দেবেন হাইকোর্ট।

শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।

জমজ নবজাতক সন্তানের চিকিৎসাসেবার জন্য ২ নভেম্বর একে একে তিনটি হাসপাতালে যান এক বাবা। একপর্যায়ে জানতে পারেন, দুই শিশু আর নেই। এমন প্রেক্ষাপটে দুই নবজাতকের মরদেহ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে আসেন বাবা। বিষয়টি নজরে এলে সেদিন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে নবজাতকদের চিকিৎসা অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নবজাতকদের কেন চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা জানতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতাল তিনটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমএসএসইউ), ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মুগদায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল।

ব্যাখ্যায় তাদের দোষ নেই—এমনটি বলা হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এই প্রেক্ষাপটে ব্যাখার যথার্থতা, ওই ঘটনায় অবহেলা ছিল কি না এবং আইনি দিক বিষয়ে মতামত দিতে ২৫ নভেম্বর আদালত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে চারজনের নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না, মনজিল মোরসেদ ও শাহদীন মালিক এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সৈয়দা আনোয়ার। তাঁরা আদালতে মতামত তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে ছিলেন। শিশু হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক, বিএমএসএসইউ–এর পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম ও মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে আইনজীবী আবদুল খালেক শুনানিতে ছিলেন।