ঝড়বৃষ্টিতে ভিজেছে অনেক স্টলের বই

অমর একুশে বইমেলা শুরুর আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
ফাইল ছবি

গতকাল রোববারের হঠাৎ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অমর একুশের গ্রন্থমেলার বেশ কিছু স্টল। স্টলের ব্যানার পড়ে গেছে, ভিজে গেছে বই। তবে আজ সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত স্টলগুলো ঠিক করার কাজ শুরু হয়।

প্রকাশকেরা বলছেন, আজ দুপুর ১২টায় যথারীতি বইমেলা খুলবে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মৌসুমি ঝড় শুরু হয়। এরপর বৃষ্টি হয়েছে।

বইমেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল যখন ঝড় শুরু হয়, তার কিছু আগেই নিজ নিজ স্টলগুলো বন্ধ করা শুরু হয়। যে স্টলগুলো ঝাঁপ নামিয়ে ফেলেছিল, সেগুলো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু যাঁরা ঝাঁপ নামাতে পারেননি, তাঁদের স্টলের বইগুলো ঝড়ের ধাক্কায় নিচে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে অনেক স্টলের বই ভিজে যায়। যাঁদের বই ভিজে গেছে, তাঁরাই মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রথম আলো কথা বলেছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশন ও বিক্রেতা সমিতির সদস্য ও আগামী প্রকাশনীর মালিক ওসমান গনির সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ঝড়ে মেলার স্টলগুলো ভেঙে গেছে। অনেক স্টলের ব্যানার ভেঙে গেছে। তবে সন্ধ্যায় ঝড়ের আগে যাঁরা স্টলের ঝাঁপ ফেলতে পারেননি, তাঁদের অনেকের বই ভিড়ে গেছে। তাঁরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ দুই প্রকাশক বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে বাংলা একাডেমি ও তাঁরা কাজ করছেন। স্টলগুলো ঠিক করার কাজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। আজ মেলা যথাসময়ে খুলবে।

তবে কতগুলো স্টলের বই ভিজেছে, সে ব্যাপারে এখনই কোনো তথ্য দিতে পারেননি প্রকাশকেরা। এ জন্য আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন।

প্রকাশক ওসমান গনি মনে করেন, লকডাউনে বইমেলা খোলা রাখারই কোনো মানে হয়। গণপরিবহন নেই, মেলার সময়ের পরিবর্তন ও বিধিনিষেধের কারণে মানুষ মেলায় আসতে পারবে না। গতকাল তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

অবশ্য প্রকাশক ফরিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘প্রকাশকেরা মেলা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো দাবি সম্মিলিতভাবে তোলেননি। তবে এটা ঠিক, যে উদ্দেশ বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে, তা পূরণ হচ্ছে না। প্রকাশকেরা ভেবেছিলেন বইমেলা হলে করোনা পরিস্থিতিতে বই বিক্রির ওপর যে নেতাবাচক প্রভাব পড়েছিল, সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। কিন্তু আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সেই সুবিধা প্রকাশকেরা এখন পর্যন্ত পাননি। পাওয়া যাবে বলেও মনে করছি না।’

এবারের বইমেলায় ৫৪০টি প্রকাশনী, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা অংশ নিচ্ছে। মোট স্টলের সংখ্যা ৮৩৪। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন আছে ৩৩টি।