টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন স্বপন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ, মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শয়ান মিয়া।

এ ছাড়া হত্যার পর লাশ গুম করায় প্রত্যেক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজাপরোয়ানা জারি করে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই টাঙ্গাইলের রসুলপুরের বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল কুমার দাস ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাঁদের লাশ বস্তায় ভরে বাসার বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখা হয়।পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় অনিল কুমারের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অনিল কুমারের সৎভাই স্বপন কুমারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় ২৭ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করে।