টিকা চায় চীনে পড়ুয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে টিকার আওতায় আসার দাবি জানান শিক্ষার্থীদের সংগঠন ভয়েস অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইন চায়না।
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

চীনে পড়াশোনা করেন, এমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাঁদের টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় শিক্ষার্থীদের সংগঠন ভয়েস অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইন চায়না।

সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফজলে রাব্বী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির ফলে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী শীতকালীন অবকাশের সময় এবং পরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে ফিরে আসেন। আজ পর্যন্ত তাঁদের ফিরে যাওয়া হয়নি এবং ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে চীন সরকার দেশে প্রবেশের শর্ত হিসেবে সে দেশের উৎপাদিত টিকার কথা উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ সরকার চীনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে। চীন সরকার দুই ধাপে উপহার হিসেবে টিকা পাঠিয়েছে।

রাব্বি বলেন, ‘চীনে ফিরতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের টিকার অগ্রাধিকারের জন্য আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে অধিদপ্তর তাঁদের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের নির্দেশে আমরা স্বেচ্ছায় চার হাজার শিক্ষার্থীর তালিকা দিই। পরে চীনের টিকার অগ্রাধিকারের তালিকায় দেখা গেল, সেখানে আমাদের কথা নেই।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এখন চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রকৌশল এমবিবিএস ও গবেষণায় বিভিন্ন বিষয়ে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আছেন। একজন প্রকৌশলী শিক্ষার্থীর তাত্ত্বিক পাঠদানের পাশাপাশি ল্যাবরেটরির কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু অনলাইনে এটা শেখা সম্ভব নয়। এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যাটা আরও বেশি প্রকট। ইন্টার্নশিপের সুযোগ না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ডিগ্রি নিয়ে সংশয়ে আছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল জানিয়েছে, অনলাইনের ইন্টার্নশিপ তাঁরা গ্রহণ করবেন না। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বড় সমস্যায় পড়েছেন।

আজকের মানববন্ধনে চীনে পড়ুয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসার দাবি করা হয়। এ ছাড়া চীনে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা পুনরায় চালু করার দাবি করা হয়। সাত মাস ধরে এটি বন্ধ আছে। এর পাশাপাশি চীনা দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সেমিস্টারের মধ্যেই ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সারিমা ঋতু, মোহাম্মদ ওয়ালিদ প্রমুখ।