টিকিট পেতে কাউন্টারে সৌদিপ্রবাসীরা

সৌদি আরবে ফেরার টিকিট নিশ্চিত করতে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের কাউন্টারে ভিড় যাত্রীদের।
ফাইল ছবি।

সৌদিপ্রবাসীদের ফেরার টিকিট রি-ইস্যু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনস। ঢাকার  মতিঝিলের বিমান অফিস এবং কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁও সেলস সেন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবারও এই দুই বিমানসংস্থার কার্যালয়ের সামনে সৌদিপ্রবাসীদের ভিড় ছিল। আজ তাদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা যায়। অন্যান্য দিনের মতো রাস্তা অবরোধ বা বিক্ষোভের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মতিঝিলে বিমান অফিস থেকে  ৩১ মার্চ জেদ্দা রুটে, ২৪-২৫ মার্চ রিয়াদ রুটে, ২১ থেকে ২৪ মার্চ দাম্মাম রুটের যাত্রীদের  টিকিট রি-ইস্যু করেছে বিমান। সৌদি এয়ারলাইনস ২৭০১ নম্বর থেকে ৩০০০ হাজার নম্বর টোকেনধারীদের টিকিট রি-ইস্যু করেছে।

বিমানের টিকিট পাওয়া সৌদিপ্রবাসী মো. আলমগীর বলেছেন, ‘তাঁর ভিসা ও ইকামার (কাজের বৈধ অনুমতিপত্র) মেয়াদ রয়েছে আর এক মাস। টিকিট নিতে তিনি সকালেই এসেছেন। টিকিট পেতে তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি।’

গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যাওয়া প্রবাসীদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সদস্য মো. মনির আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইকামা, ছুটির মেয়াদ, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ২০০ জনের তালিকা দিয়েছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তালিকা আজ তাঁরা সৌদি দূতাবাসে পাঠাবেন। কিন্তু পাঠানো হয়েছে কিনা বা কোনো জবাব এসেছে কিনা তা জানা যায়নি। আজ বুধবার আমার ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।’

চলতি মাসে সৌদি এয়ারলাইনসের ৫টি ও বিমানের ৫টি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়েছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ আজ জানান, যেসব ফ্লাইট ছেড়ে গেছে তার মধ্যে দুজন সৌদি এয়ারলাইনসের যাত্রীর করোনা পজিটিভ থাকায় তারা যেতে পারেননি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের (পশ্চিম) অতিরিক্ত উপকমিশনার মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আজকেও কারওয়ান বাজারে প্রবাসীরা রয়েছেন। তবে সংখ্যায় কম। তাঁরা সড়কে নামেননি। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে ফুটপাতে অবস্থান করছেন। ফলে যানজট সৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি।’

গত সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছেন সৌদিপ্রবাসীরা।

সচিবালয়ের সামনে, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। পররাষ্ট্র ও প্রবাসীমন্ত্রণালয়ে তাঁদের ৭ দফা দাবিও জানিয়েছেন প্রবাসীকর্মীরা। তাঁদের অন্যতম দাবি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছুটির মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো। আটদিনের বিক্ষোভে গতকালই প্রথম ব্যানার হাতে নিয়ে সার্ক ফোয়ারার সামনে সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন প্রবাসীরা। সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দিকে যান তাঁরা। দুপুর ১২টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ভেতরে যায় প্রবাসীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।