ডিএনসিসিতে কিউলেক্স মশকনিধনে সমন্বিত অভিযান শুরু

কিউলেক্স মশকনিধনের অভিযান সোমবার সকালে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ছবি: সাইফুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) কিউলেক্স মশকনিধনের সমন্বিত অভিযান শুরু হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই অভিযান আজ সোমবার সকালে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর পল্লবী এলাকার সাগুফতা খাল পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির মেয়র। পরে তাঁর উপস্থিতিতে ফগার ও স্পে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটিয়ে কিউলেক্স মশকনিধনের সমন্বিত অভিযান শুরু হয়।

মশকনিধনের পাশাপাশি ডিএনসিসি এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে। উদ্দেশ্য—ডিএনসিসিকে সম্পূর্ণভাবে পরিচ্ছন্ন করা।

উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র আবাসন নির্মাতাদের (ডেভেলপার) নিজেদের এলাকার নিকটবর্তী খাল নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কারের আহ্বান জানান।

মেয়র আতিকুল বলেন, ‘অনেক ডোবা-নালা আছে, যা কচুরিপানায় ভর্তি। সেটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আমি ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি, যারা ডোবা পরিষ্কার করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলদের সহায়তায় ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলা দিতে হবে।’

ডিএনসিসি থেকে ইতিমধ্যে এ ধরনের ৫টি মামলা করা হয়েছে বলে জানান মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, নিয়মিত মামলার বিষয়টি অব্যাহত থাকবে।

ডিএনসিসি এলাকায় ১০ দিনব্যাপী এই অভিযান চলবে
ছবি: সাইফুল ইসলাম

ডিএনসিসি অভিযানের সুবিধার্থে ৫৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১০টি অঞ্চলের প্রতিটিতে এক দিন করে অভিযান চালাবে। এ ছাড়া প্রত্যেক খাল পরিষ্কার রাখতে সাতজন করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছে ডিএনসিসি।

এ প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল বলেন, আগে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৬০ জন করে কর্মী কাজ করতেন। এখন এই সংখ্যা দেড় শ জন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের তদারকি করতে লোক নিয়োগ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা একটা থার্ড পার্টি নিয়োগ করেছি। যারা রিপোর্ট করবে শুধু মেয়রকে। তারা দেখবে কর্মী ও সুপারভাইজাররা কীভাবে কাজ করছেন। ঠিকমতো লার্ভিসাইট, এডাল্টিসাইড করল কি না, তা তারা দেখবে।’

মেয়র আতিকুল জানান, প্রতিদিন অভিযান শেষে রাত ৮টায় জুম মিটিং হবে। এই মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিনের অভিযানের দুর্বলতা খুঁজে বের করা হবে।

প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এডাল্টিসাইডিং করা হবে বলে ডিএনসিসি জানায়। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।