ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে জুলুমের আইন: আনু মুহাম্মদ

আনু মুহাম্মদ
ফাইল ছবি, প্রথম আলো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে জুলুমের আইন বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, আইন যদি নিজেই নিপীড়ক হয় এবং জনগণের ওপর বৈষম্য ও বঞ্চনার হাতিয়ার হয়, তাহলে সেই আইনের শাসন মানেই জুলুমের শাসন। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ রোববার এক প্রতিরোধ সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে গত শুক্রবার শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সাত নেতা-কর্মী এবং খুলনা থেকে আটক শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে ‘বাক্‌স্বাধীনতার দাবিতে বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।

সমাবেশে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা একই সঙ্গে দুটি শাসন দেখতে পাচ্ছি। একটা হচ্ছে আইনবহির্ভূত জুলুম, অন্যটি আইন জারি করে জুলুম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে সেই জুলুমের আইন। জুলুম ও আইন এখন একাকার, যেমন একাকার সরকার ও আদালত। সরকার চাইলে জামিন হয়, না চাইলে হয় না। আইন যদি নিজেই নিপীড়ক হয়, একটা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার রক্ষক হয়, আইন নিজেই যদি জনগণের ওপর বৈষম্য ও বঞ্চনার হাতিয়ার হয়, তাহলে সেই আইনের শাসন মানেই জুলুমের শাসন৷’

লেখক মুশতাক আহমেদকে খুন করা হয়েছে, এমন দাবি করে আনু মুহাম্মদ বলেন, এ খুনের দায় সরকারের। একজন লেখককে তাঁর লেখার অপরাধে বিনা বিচারে মাসের পর মাস আটকে রাখা, এটা কি আদর-যত্ন করা? এটা যদি নির্যাতন না হয়, তাহলে নির্যাতন কী? কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না?

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের শাসন যত দীর্ঘায়িত হবে, বাংলাদেশে উগ্রবাদ তার জায়গা করে নেবে।
রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ূম বলেন, প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণের দৃষ্টিতে আইনকে বিবেচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মেঘমল্লার বসুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবীর, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।