তরুণ হত্যায় ছিনতাইকারীর স্বীকারোক্তি

জিসান হাবীব
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় জিসান হাবীব (১৭) নামের এক তরুণ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি। একই মামলায় আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ আসামিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ সুমন নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পাশাপাশি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই পাঁচ আসামি হলেন জাহাঙ্গীর ব্যাপারী ওরফে হৃদয়, মো. রাকিব, মো. তানভীর রহমান নেহাল, মো. জিহাদ ও মো. নুরুল ইসলাম রাব্বী। এ ছাড়া রিমান্ড শেষে স্বপন নামের আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

১০ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন জিসান হাবীব। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। সেখানকার একটি স্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেছে সে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, জিসান গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের ইসলামপুরে মামার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। ১০ ডিসেম্বর রাতে এক আত্মীয়কে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে আসে সে। বিমানবন্দর থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিসান তার অন্য এক আত্মীয়ের সঙ্গে বাসে ধামরাই ফিরছিল। বাসটি আবদুল্লাহপুরে পৌঁছালে এক ছিনতাইকারী জানালা দিয়ে জিসানের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় জিসান ও তার আত্মীয় বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী জিসানকে ছুরিকাঘাত করে মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জিসানকে উদ্ধার করে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।