তাঁরা মাস্ক পরতে ভুলে যান

মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে ও সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা জেলা প্রশাসন আজ কারওয়ানবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
ছবি: সাজিদ হোসেন

কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ ধরে সাইকেলে করে যাচ্ছিলেন মো. রানা। মুখে মাস্ক ছিল না। কারওয়ান বাজার আসতেই পড়েন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখে। মাস্কের কথা জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ভুলে গেছি।’

রাজধানীতে ঢাকা জেলা প্রশাসন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে ও সচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে এ আদালত বসেন।

মো. রানাকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি মাস্ক দেওয়া হয়। কিন্তু রানা জানান, তাঁর কাছে কোনো টাকাই নেই। পরে তাঁর জরিমানা মাফ করা হয়। রানা মাফ পেলেও মাস্ক ছাড়া অন্য ব্যক্তিরা মাফ পাননি।

কবির মিয়া নামের এক কলেজশিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। মুখে মাস্ক নেই। তিনিও পড়েন আদালতের সামনে। পকেট থেকে মাস্ক বের করে বললেন, তিনি মাত্রই বুট খেয়ে মোটরসাইকেলে চড়েছেন। মাস্ক পরতে ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি বারবারই দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। কবির বলেন, ‘আমি নিজেও সচেতন। এই যে দেখেন ব্যাগে হ্যান্ডস্যানিটাইজার আছে। সব সময়ই মাস্ক পরি। মাস্ক বিতরণও করেছি। কিন্তু এখন মুখে দিতে মনে ছিল না।’

রানা ও কবিরের মতো আরও অনেকে জানান, মাস্ক সঙ্গে আছে, কিন্তু পরতে তাঁরা ভুলে গেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পথচারী, মোটরসাইকেল, গণপরিবহনে অভিযান চালান। বাস থামিয়েও আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। যাঁদের মুখে মাস্ক থাকে, তাঁদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়। মাস্ক না থাকলে জরিমানা করা হয় এবং একটি মাস্ক দেওয়া হয়।

কারওয়ান বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম ও পারসিয়া সুলতানার নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তাজওয়ার আকরাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। ৮০ শতাংশই প্রায় মাস্ক পরিহিত। মূল সড়কগুলোয় মাস্ক পরা মানুষের সংখ্যা বেশি। তবে অলিগলিতে তা কম। যাঁরা না পরছেন, তাঁদের এখন ১০০ থেকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। পরে জরিমানার টাকার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। কারওয়ান বাজারে অন্তত ১৫টির মতো মামলা হয়েছে।’