থার্টি ফার্স্টে লোকসমাগমে নিষেধাজ্ঞা, নিষেধ ডিজে পার্টি

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: সংগৃহীত

থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে লোকসমাগম ও পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি সেদিন সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত আটটার পর সব ফাস্ট ফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি সবাইকে বড়দিন ও নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার

হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না

বড়দিনে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরামর্শ
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের ব্যাগ, পোঁটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। প্রচুর লোক কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।


বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় তিনি চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দেন।


ব্যাগ, পোঁটলা, বাক্স নিয়ে চার্চে আসা যাবে না

বড়দিনে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে পোশাকে ও সাদাপোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালভাবে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের ব্যাগ, পোঁটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

এ ছাড়া প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চার্চের ফাদার, দায়িত্বরত ব্যক্তিরাসহ ভক্ত–দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।

সব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশু দর্শনার্থীদের অনুষ্ঠানে আসতে নিরুৎসাহিত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।


সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।