দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু, অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রতীকী ছবি
প্রথম আলো

ঢাকার কেরানীগঞ্জে জুয়ার টাকা না পেয়ে গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রোববার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।  
মৃত গৃহবধূর নাম সাহিদা বেগম (৩৫)। তাঁর স্বামীর নাম নজরুল ইসলাম ওরফে ভুট্টো।

সাহিদার ভাই আবুল কাশেম জানান, ১৫ বছর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পুরান বাক্তারচর গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে সাহিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নজরুল কুয়েত চলে যান। সেখানে প্রায় আট বছর থেকে করোনা পরিস্থিতির সময় নজরুল দেশে ফেরেন। দেশে এসে নজরুল গ্রামে জুয়া খেলা শুরু করেন। এরপর থেকে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সাহিদার সঙ্গে প্রায়ই নজরুলের ঝগড়া হতো।

নজরুল প্রায়ই মারধর করত সাহিদার। সাহিদাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা আনার জন্য চাপ দিত। এর প্রতিবাদ করলে নজরুল তাঁকে নির্যাতন শুরু করেন।
আবুল কাশেমের দাবি, এসব শুনে নজরুলকে কয়েক দফায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে নজরুল ও তাঁদের বাড়ির লোকজন সাহিদাকে মারধর করে শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, গৃহবধূ আগুনে দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করতে থানায় আসেনি। মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।