দুবাইয়ে হুন্ডি করে টাকা পাঠাতেন ‘গোল্ডেন মনির’

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’
ফাইল ছবি

চারটি মানি এক্সচেঞ্জের মালিক মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’। এসব মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দুবাইয়ে হুন্ডি করে টাকা পাঠাতেন তিনি। রিমান্ডে থাকা গোল্ডেন মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ সোমবার দ্বিতীয় দফায় গোল্ডেন মনিরের রিমান্ডের পঞ্চম দিন ছিল।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গোল্ডেন মনির তাঁর মালিকানাধীন মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে হুন্ডি করে দুবাইয়ে টাকা পাঠাতেন। এ ছাড়া তাঁর আয়কর ফাইলে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে উদ্ধার করা সোনা ও নগদ টাকার অঙ্কে গরমিল রয়েছে।

বাড্ডা থানায় হওয়া অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় গোল্ডের মনিরের তিন দিন করে গত বৃহস্পতিবার মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে আদালত দুই মামলায় একসঙ্গে তিন দিন রিমান্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। সেই হিসেবে তিন মামলায় তাঁকে ছয় দিন ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আগামী বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

মামলাগুলো তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, গোল্ডের মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্য এখন যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁর বাসা থেকে গুলিসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪ লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, নব্বইয়ের দশকের দোকান কর্মচারী মনির এখন প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তিনি সোনা চোরাচালান এবং কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে রাজউকের বেশ কিছু প্লট কবজা করে এসব সম্পদের মালিক হন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরকারি নথি চুরি, ভুয়া নথি ও জাল দলিল বানানোর অভিযোগে গত বছরের ১৫ অক্টোবর মতিঝিল থানায় রাজউকের করা একটি মামলার আসামি এই মনির।

মামলাটি প্রথমে থানা-পুলিশ এবং পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে ছিল। সর্বশেষ মামলার তদন্তভার পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এ পর্যন্ত এই মামলায় মনিরকে কোনো সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।