দোতলার জানালার গ্রিল কেটে নেমেছিলেন দোকানি মোস্তফা

আরমানিটোলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা।
ফাইল ছবি

মোহাম্মদ মোস্তফা ছয়তলাবিশিষ্ট হাজি মুসা ম্যানশনের দোতলায় সপরিবার থাকেন। আগুন লাগার পর জানালার গ্রিল কেটে নিচে নেমে আসেন। এরপর থেকে গা ঢাকা দেন। আর মোস্তাফিজুর সেই রাতে কেরানীগঞ্জে ছিলেন। তিনিও ঘটনার পর গা ঢাকা দেন।

আরমানিটোলায় হাজি মুসা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাঁরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ মোস্তফা। দুজনেরই ভবনের নিচতলায় রাসায়নিকের দোকান ছিল। র‌্যাব আজ মোস্তাফিজুরকে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থেকে ও মোহাম্মদ মোস্তফাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানান।

২৩ এপ্রিল ভোরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার পর্যন্ত ওই ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যসহ আহত হয়েছেন ২৫ জন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বংশাল থানায় মামলা করে। এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি এঁরা দুজন। ভবনমালিক মোস্তাক আহমেদ চিশতি এখনো পলাতক।

মোস্তাফিজুর রহমানের দোকানের নাম মঈন অ্যান্ড ব্রাদার্স, মো. মোস্তফার দোকানের নাম মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা পাঁচ-সাত বছর ধরে রাসায়নিকের ব্যবসা করেন। রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ মজুতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেননি তাঁরা।
র‌্যাব জানায়, এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।