ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণে স্কিম কেন নয়

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী ও শিশুর ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে স্কিম তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, অর্থসচিবসহ ১৫ বিবাদীকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

‘শিশু মাইশাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার পর হত্যা করে ডোবায় ফেলেন প্রতিবেশী: পিবিআই’ শিরোনামে গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ তিন শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ স্কিম তৈরি করতে ও পুনর্বাসন বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান মো. আবদুল হালিম ২ জানুয়ারি ওই রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী আবদুল হালিম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

তিনটি ঘটনা তুলে ধরে আইনজীবী মো. আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর রংপুরের বড়বাড়ি এলাকায় চার বছর বয়সী শিশু মোবাশ্বিরা আক্তার মাইশাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার পর হত্যা করা হয়। ২০১৭ সালে পাঁচ বছর বয়সী দিনাজপুরে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি এখনো সুস্থ হয়নি। গত সেপ্টেম্বরে খুলনার তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু (৯ বছর) ধর্ষণের শিকার হয়। মাইশা মারা গেছে, অপর দুই শিশু জীবিত।

এই তিন শিশুকে উদ্ধার ও পুনর্বাসনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং তাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। তিন শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন ও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন কেন আদালতে দাখিল করা হবে না—সে বিষয়েও রুল হয়েছে।