নাটক, শর্ট ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ সম্প্রচারে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠন কেন নয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

টেলিভিশন চ্যানেল, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্য কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা বা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড বা রেগুলেটরি কমিশন বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
টেলিভিশন চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্য কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা বা সম্প্রচারে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ৪ নভেম্বর ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুসরাত জাহান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন ও মো. তারিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী নুসরাত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালের সম্প্রচার নীতিমালার ষষ্ঠ অধ্যায় অনুসারে একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কমিশন গঠিত হয়নি। গত ঈদুল আজহার সময় ‘ঘটনা সত্য’ নামে নাটক প্রচারিত হয়। নাটকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে আপত্তিকর সংলাপ আসে, যা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এ নিয়ে ফৌজদারি মামলাও হয়। পরে তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। যে কারণে টিভি চ্যানেল, ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা, তথা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠন চেয়ে রিটটি করা হলে আদালত রুল দেন।

রুলে এমন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে জাতীয় সম্প্রচার কমিশন বা সেন্সর বোর্ড বা রেগুলেটরি কমিশন বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড গঠন করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচারসচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকের প্রযোজক–পরিচালকসহ পাঁচ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।