নিউইয়র্কের ভাড়া ৬৫ হাজার, সেখানে রিয়াদের ভাড়া ৯০ হাজার

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বায়রার সদস্যদের নিয়ে গঠিত সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ
ছবি: সংগৃহীত

সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের শহর নিউইয়র্কে যেতে ২৩ ঘণ্টার ভ্রমণে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে গড়ে ৬৫ হাজার টাকা। অথচ ৬ ঘণ্টা দূরত্বে সৌদি আরবের রিয়াদে যেতে ভাড়া নিচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

এ তথ্য জানিয়ে বেসরকারি খাতে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকেরা অভিযোগ করেছেন, উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো প্রবাসী কর্মীদের ওপর অতিরিক্ত ভাড়া চাপিয়ে দিচ্ছে।

আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন বায়রার সদস্যদের নিয়ে গঠিত সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ। লিখিত বক্তব্যে পরিষদের নেতারা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রমবাজার রয়েছে, সেসব দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রেই উড়োজাহাজ টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা ও অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগে যে টিকিটের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, সেই টিকিট এখন ৭৫ থেকে ৯০ হাজারেও মিলছে না। অতীতেও অনেকবার এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় বারবার এটি হচ্ছে। কোনো সংস্থা তদারকি করছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উড়োজাহাজ টিকিটের দাম কয়েক গুণ বেশি।

পরিষদের অভিযোগ, বিদেশে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। নিজেদের মুনাফার জন্য বিমানও টিকিটের দাম বাড়ায়। এটি অনুসরণ করে অতিরিক্ত হাজার হাজার ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে বিদেশি উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। টিকিটের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে এনে তা বিদেশগামী কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানায় পরিষদ।

এদিকে বর্তমানে অপেক্ষমাণ ৪০ থেকে ৫০ হাজার বিদেশগামী কর্মীর জন্য দ্রুত বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বায়রা। আন্তর্জাতিক সব রুটে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) অনুরোধ করেছে তারা। প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ভাড়ায় লেবার ফেয়ার চালুরও দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

বিদেশগামী কর্মীদের উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার সাবেক অর্থসচিব মো. ফখরুল ইসলাম। এ সময় বায়রার সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদের প্যানেল প্রধান আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।