নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ স্থগিত

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আপাতত ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা আলাদা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেছেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। তাই ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষকে আপাতত ভুক্তভোগী চার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে না।

আলাদা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আপাতত ৩০ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেন। ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই অর্থ দিতে বলা হয়। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলাদা আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক, হাসান এম এস আজিম ও মুনতাসির আহমেদ।

এর আগে গত বছরের ২৭ মে হাসপাতালটির মূল ভবনের বাইরে আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লেগে লাইফ সাপোর্টে থাকা পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। তাঁরা হলেন রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভারনন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫), মো. মাহাবুব (৫০)।

ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে নিহত রিয়াজুলের স্ত্রী ফৌজিয়া আক্তার, নিহত খোদেজার ছেলে মো. আলমগীর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিয়াজ মোহাম্মদ মাহাবুব পৃথক তিনটি রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৫ জুলাই হাইকোর্টের একক ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ ৩০ লাখ টাকা করে ১৫ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগী প্রতি পরিবারকে দিতে নির্দেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর শুনানি নিয়ে গত বছরের ২১ জুলাই চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

শুনানি নিয়ে গত বছরের ২০ আগস্ট আপিল বিভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে মোশন (নতুন মামলা) হিসেবে শুনতে পারেন এমন উপযুক্ত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট দায়ের করতে রিট আবেদনকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনকারীপক্ষ হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে রিটগুলো দাখিল করেন। শুনানি নিয়ে ১১ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।