নুরুলদের ওপর হামলায় সাক্ষী পায়নি পুলিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর
ফাইল ছবি

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলার মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ওরফে বুলবুলসহ নয়জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস গত ১০ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেন। ঢাকার সিএমএম আদালত আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন গ্রহণবিষয়ক শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) ভবনের ভেতরে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর নুরুল হক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। ঘটনার দুই দিন পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে নুরুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করেন। দুই মামলার একসঙ্গে তদন্ত হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্তে ভুক্তভোগীরা কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি। তাঁদের কাছে চিকিৎসার সনদ চেয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি দাবি করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা সনদ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে পুলিশ লিখেছে, ঘটনার দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এক পক্ষের সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। উভয় পক্ষের ‘ঠেলাঠেলি ও ধাক্কাধাক্কিতে’ পড়ে গিয়ে কয়েকজন আহত হন।

তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগ সম্পর্ক জানতে চাইলে নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ওই হামলার ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের অনেকে গুরুতর জখম হয়েছিলেন। একজনকে আইসিইউতেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন কোনো ধরনের চিকিৎসা সনদ দেয়নি।

হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ তদন্ত কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে নুরুল হক বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

পুলিশের মামলার বাদী নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রইছ হোসেন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসা সনদ না দেওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে, তা তিনি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবেন। কেউ যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।