নুরুলের মামলা প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে কয়েকটি সংগঠন।
আহমেদ জায়িফ

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাকে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ অভিযোগ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। দাবি আদায়ে আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা।

এদিকে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে সোমবার সন্ধ্যায় আটকের সময় নুরুল হকসহ অন্তত দশজন নেতা কর্মী পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী কিছু ব্যক্তির নির্যাতনে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। হামলাকারী সেসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা এবং আর কোনো হামলা, মামলা করা হবে না এমন নিশ্চয়তা চেয়েছে তারা।

সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। এরপর বেলা সোয়া বারোটার দিকে মিছিল নিয়ে তারা হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে শহীদ মিনার ও টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে আবারও সমাবেশ করে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, হামলা-মামলার ঘটনা এই প্রথম নয়। আগেও বহুবার হয়েছে। কিন্তু এসব করে তাদের দাবায় রাখা যাবা না। নুরুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার পর সে নিজেই রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু পুলিশ এবং তাদের সঙ্গে থাকা সাদাপোশাক ধারী কিছু ব্যক্তি রড, হকিস্টিক দিয়ে তাকেসহ নেতা কর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছে।

পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার যদি তাদের দমন করে ফেলে তাহলে এ দেশে আর কেউ কখনো প্রতিবাদ করতে পারবে না। সোমবারের হামলায় তাদের দশজন নেতা কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন দাবি করে তিনি সবাইকে মিথ্যা মামলা ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।

যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে স্বৈরাচারী সরকার তাদের গদি টিকিয়ে রাখতে চায়। সরকার অত্যাচার নিপীড়নের প্রতিবাদ তারা চালিয়ে যাবেন।

যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো.আতাউল্লাহ বলেন, আর কোনো মিথ্যা মামলা দেওয়া হলে বা হামলা করা হলে ঢাকা শহর অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি দেওয়া হবে।

গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লালবাগ থানায় নুরুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই ছাত্রী সোমবার নুরুল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন। রোববারের মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষ ফেরার পথে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ নুরুল হকসহ কয়েকজনকে আটক করে। সোয়া এক ঘণ্টা পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।